Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
একনেকের বৈঠকে মতলব সেতুর অনুমোদন লাভ
বিস্তারিত

মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা দু’টির মধ্যখানে ধনাগোদা নদীর উপর স্বপ্নের মতলব সেতু অবশেষে নির্মিত হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার একনেকের বৈঠকে বৃহত্তর মতলববাসীর প্রাণের দাবীর মতলব সেতুর ফাইলটি আনুমোদন দেয়া হয়েছে। এবছরেরই নভেম্বর মাসেই এই মতলব সেতুর কাজ শুরু হতে যাচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ধনাগোদা নদীর ওপর ৩০৪ দশমিক ৫১ মিটার দীর্ঘ মতলব সেতুর নির্মাণকাজ ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে শেষ করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে ৩০৪ দশমিক ৫১ মিটার আরসিসি সেতু নির্মাণ, অ্যাপ্রোচ সড়কের ওপর ৩০ দশমিক ৫০ মিটার একটি সেতু নির্মাণ, ১২ মিটার দুটি আরসিসি কার্লভাট নির্মাণ, ১০ মিটার দুটি আরসিসি আন্ডারপাস নির্মাণ, ১ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার সার্ফেসিং এবং নতুন পেভমেন্ট তৈরি, ৯ দশমিক ৩৪ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, ৩ দশমিক ২৩ লাখ ঘনমিটার সড়ক বাঁধ নির্মাণ, জিও টেক্সটাইল, টো-ওয়াল, সার্ফেস ড্রেন, দুটি ইন্টারসেকশন আইল্যান্ড এবং সাইন, সিগন্যাল, ইউটিলিটি সিফটিংসহ আনুষঙ্গিক কাজ।
দীর্ঘ সময় এই সেতুটির অভাবে জেলা সদর চাঁদপুর, নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের সাথে রাজধানীর যোগাযোগ অনেক পিছিয়ে ছিল। আর এই সেতু নির্মিত হলে মতলব উত্তর উপজেলা ও দক্ষিণ উপজেলাতে বিভিন্ন শিল্প কারখানা গড়ে উঠার মাধ্যমে এ উপজেলার আর্থ-সামাজিক অনেক উন্নয়নের প্রত্যাশা করছেন মতলবের দু’উপজেলাবাসী। মতলব উত্তর উপজেলার শ্রীরায়েরচর ব্রীজ দিয়ে দাউদকান্দি হয়ে ঢাকা যেতে সহজতর হওয়ায় শুধু মতলবের দু’উপজেলাবাসীই নয় চাঁদপুর, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, রামগঞ্জ, নোয়াখালী, লক্ষীপুরসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষদের এ পথে রাজধানী ঢাকার যাতায়াত সহজতর হওয়ায় মতলবের ফেরীঘাটে ব্যক্তি পর্যায়ের বিভিন্ন যানবাহনের ভীর লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এখন মতলব সেতু নির্মান হলেই জেলা শহর চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষীপুরসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের কোন যানবাহন আর কুমিল্লা হয়ে ঢাকা যাবার কোন প্রয়োজন হবে না। সময় অনেক কম লাগার কারনে ঐসব অঞ্চলের সকল যানবাহনই মতলবের এ রুট ধরে রাজধানী যাতায়াত করবে। দু’উপজেলাবাসীর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে গত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও তিনি আর তা করে যেতে পারেননি। তবে তিনি এই মতলব সেতুর স্থানে ফেরী পারাপারের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলে তৎসময়ের যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার নাজমূল হুদা এই মতলব সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করলেও দু’উপজেলাবাসীর স্বপ্ন আবারো স্বপ্নই থেকে গেছে। অথচ, এই কালক্ষেপনের কারনে প্রকল্পের নির্মান ব্যায় বেড়েছে কয়েকগুন।
চাঁদপুর জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগসূত্রে জানা গেছে, মতলব সেতু নির্মানে প্রথমে ১৫ কোটি ৬৭ লাক্ষ টাকার একটি প্রকল্প দেয়া হয়েছিল। চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর ২০১২ইং সালের শুরুর দিকে ৬৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রনালয়ে দাখিল করেন। কিন্তু তার পরেও এই মতলব সেতুর আর নেই কোন অগ্রগতি, সবকিছু আবারো ফাইলবন্ধি।
মতলব সেতুর ব্যপারে কথা হলে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ মঞ্জু জানান, গুরুত্বের প্রতি বিবেচনা করে স্থানীয় সাংসদ ও সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারনেই মতলববাসী স্বপ্নের মতলব সেতুটি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। আমরা উপজেলা পরিষদের সভাতে এই সেতুটির নাম “মায়া বীরবিক্রম সেতু ” নামকরনের ব্যপারে প্রস্তাবনা রেখেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমাদের দাবী এই সেতুটির নাম যেনো মায়া বীরবিক্রম সেতু করা হয়।
এ ব্যপারে কথা হলে চাঁদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন জানান, যেহেতু সেতুটি একনেকের বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে ৩০৪.৫১মিটার দৈর্ঘ, ৩২ ফিট প্রসস্ত, ৮ খুটি বিশিষ্ট ৮৪কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই মতলবের এই সেতুটির কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

ছবি
ছবি
ডাউনলোড